Achievement

চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারীর পুরস্কার পেল সিদীপ

'জাতীয় ট্যাক্স কার্ড নীতিমালা, ২০১০ (সংশোধনী) ' অনুযায়ী ২০২০-২০২১ কর বছরে ‘অন্যান্য’ খাতে চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী নির্বাচিত হয়েছে সেন্টার ফর  ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন এন্ড প্র্যাকটিসেস (সিদীপ)। ২৪ নভেম্বর, ২০২১ বেইলি রোডস্থ অফিসার্স ক্লাবে মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামালের উপস্থিতিতে সিদীপের নির্বাহী পরিচালক জনাব মিফতা নাঈম হুদার হাতে এই সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান। 

 

 

 

 

 

 

 

সিদীপের দশম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার লাভ 

সিদীপ ২০১৪ সালের ‘শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা’ হিসেবে দশম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার লাভ করে। প্রতিবছর সিটি ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে।  ২০১৫ সালের ২ আগস্ট বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিদীপের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার হাতে এ পুরস্তার তুলে দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব আব্দুল মান্নান। 

 

 

 

 

 সিদীপের উদ্যোগে ভিক্ষুক ও গৃহহীনমুক্ত মূলগ্রাম ইউনিয়ন 

সিদীপের অন্যতম বড় একটি অর্জন হচ্ছে একটি গোটা ইউনিয়নকে ভিক্ষুক ও গৃহহীনমুক্ত করা। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মূলগ্রামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হাতে  ‘ভিক্ষুক ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণার সনদ তুলে দেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান জনাব কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেছিলেন সিদীপের তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক  মরহুম জনাব মোহামামদ ইয়াহিয়া। সিদীপ পিকেএসএফ-এর আর্থিক সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ইউনিয়নের মূলগ্রাম ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত এবং এমআরএ-এর অনুমতিক্রমে গৃহহীনদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে এই ইউনিয়নকে গৃহহীনমুক্ত করতে সক্ষম হয়।

 

 

 

 

২০০৫ সাল থেকে নরসিংহপুর ও ফতেহপুর গ্রামে সিদীপের আর্সেনিকমুক্ত পানি প্রবহমাণ 

২০০৫ সাল থেকে নরসিংহপুর ও ফতেহপুর গ্রামের আর্সেনিককবলিত মানুষ সিদীপ প্রবর্তিত বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন।   ২০০১ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে সিদীপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় আর্সেনিক শনাক্তকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি কার্যক্রম গ্রহণ করে এবং এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এই উপজেলার ২১৯টি গ্রাম, ২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সফলতার সঙ্গে এ কাজ সম্পন্ন করে। পরে ২০০৩ সালে এই প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে এ উপজেলায় আর্সেনিক নিরসন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। এই প্রকল্পের অধীনে ২০০৫ সালের  জুলাই মাসে সিদীপ তিতাস নদীর পানিকে প্রাকৃতিক ফিল্টারেশন পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ করে আর্সেনিককবলিত নরসিংহপুর ও ফতেহপুর গ্রামে সরবরাহের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিতাস নদীর পানিকে পরিশুদ্ধ করে পরীক্ষামূলকভাবে এ দুটি গ্রামে সফলভাবে সরবরাহ করা হয়।  ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয় এবং গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে সিদীপ এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্প পরিচালনা করে। এরপর এটি গ্রামবাসীদের নির্বাচিত কমিটিকে লিখিতভাবে হস্তান্তর করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামবাসী এখনো এই প্রকল্প চালু রেখেছে এবং তারা আর্সেনিকমুক্ত পানি ব্যবহার করছে।   

 

 

১২তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার
 শ্রেষ্ঠ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সিদীপের রুমা, শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্যোক্তা রানার আপ সিদীপের তাইফুর 

১২তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার অর্জন করেছেন সিদীপের দুজন সমিতি সদস্য। শ্রেষ্ঠ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার পুরস্কার পেয়েছেন মুন্সিগঞ্জের তৈরি ঘরের উদ্যোক্তা রুমা আক্তার এবং শ্রেষ্ঠ তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন পাবনাস্থ বেড়ার রাজর্ষী পেপারস অ্যান্ড স্টেশনারি ফ্যাক্টরির তাইফুর রহমান রাজু। ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল ঢাকায় ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব আ হ ম মোস্তাফা কামাল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান।